মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০
বর্জ্য অপসারণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ইতিবাচক উদ্যোগ
রাজশাহী মহানগরীর আয়তন খুব ছোট। এখানে অন্যান্য সমস্যার মধ্যে ময়লা আবর্জনা একটি প্রধান সমস্যা। মহানগীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ময়লা আর্বজনা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বাসা-বাড়ির ময়লা রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয়। অনেক সময় ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলা হয়। এর ফলে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা আবর্জনা অপসরণ না করার ফলে ময়লা আর্বজনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।
পূর্বে দেখা যেত, পিএন স্কুলের সামনে এবং সাগর পাড়াস্থ বড় বস্তায় দিনের পর দিন ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকত। এর ফলে স্কুলের ছাত্রীদের এবং পথচারীর চলাচলে অনেক সমস্যা হত। কিন্তু বর্তমানে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ১লা আগষ্ট ২০০৯ থেকে রাত্রীকালীন ময়লা আবর্জনা অপসারণ শুরু করে। এর আওতায় সিটি করপোরেশনের ছোট ছোট ভ্যান বাসা-বাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। এবং রাত ১০টার পর সিটি কর্পোরেশনের ট্রাকে করে ময়লা আবর্জনা ভাগাড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও ময়লা ফেলার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ বাজারে ছোট ছোট ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শহরের রাস্তাঘাট পূর্বের তুলনায় অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যায়।
প্রতিবেদক: রাফি
(ছবি ফ্লিকার থেকে ভিপেজ এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
নাগরিক সুবিধা,
পরিবেশ,
রাজশাহী
ড্রেনের জন্য চরম দুর্ভোগে জনগণ
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডে তেরখাদিয়ায় (মধ্যপাড়া) পর্যাপ্ত ড্রেইন ব্যবস্থা নেই। ড্রেইন ব্যবস্থা থাকলেও তা ভাল নয়। ভাল না হওয়ার কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষার সময় ড্রেনের পানি ভরাট হয়ে উপরে উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। জনগণ চরম দূর্ভোগে পড়ে। আবার এক পাশের জনগণের ড্রেইন ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে আর অন্য পাশের জনগণের ড্রেইন ব্যবস্থার আওতয় আনা হয়নি – এমন এলাকাও রয়েছে।
এই এলাকায় প্রায় ১৫০০ জন লোকের বসবাস থাকা সত্ত্বেও ড্রেন ব্যবস্থা নাই। বর্তমান কমিশনারের নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকা সত্ত্বেও ড্রেন ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এতে করে মহল্লার জনগণের অসুবিধা হচ্ছে। এলাকার লোকজন ময়লা পানি রাখার জন্য হাউজ তৈরি করা সত্ত্বেও মাঝে মাঝেই হাউজের দুর্গন্ধ পানি উপচে রাস্তায় চলে আসে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এই জন্য রাস্তায় চলাফেরার অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
মহল্লার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের দাবি তারা কমিশনারের কাছে পেশ করা সত্ত্বেও সমস্যাটির সমাধান হয়নি।
প্রতিবেদক: নয়ন
(ছবি ফ্লিকার থেকে সাসটেইনেবল সেনিটেসন এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
পানীয় জলের অভাব
বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহী অঞ্চলে পানীয় জলের অভাব ভবিষ্যতে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। যা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চল গড় বৃষ্টিপাত কম হয়। আর প্রতি বছরই পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাওয়ায় বর্তমানে বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করছে। সাধারণ নলকূপগুলোতে বছরের ৩-৪ মাস পানি পাওয়া যায়।
রাজশাহীর পবা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর একটি পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে এই উপজেলার পানির গড় স্তর ছিল ২০ ফুট নিচে। যা ১৯৯৫ সালে ৩০ ফুট-এ পৌঁছে। এরপর ২০০৫ এবং ২০০৮ সালে এই স্তর যথাক্রমে ৩৫ ফুট ও ৪৯ ফুট এ নেমে যায়। ফলে পানীয় জলের এক বিরাট সমস্যা দেখা দেয়।
গভীর নলকূপগুলো স্থাপন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ জনগণ এ থেকে সুবিধা গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাব ক্রমশ সংকট বৃদ্ধি করছে। যার প্রভাব পুরো অঞ্চল ছড়িয়ে পড়েছে।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান (মুন্না), রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে ওয়াটার ডট অর্গের সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
নাগরিক সুবিধা,
পরিবেশ,
রাজশাহী
আমাদের শিশুদের আনন্দলোক
শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক স্থানের খুবই প্রয়োজন। যেখানে শিশুরা তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পরিবেশ পাবে।
শিশুদের আনন্দের স্থান হচ্ছে শিশুপার্ক বা বিভিন্ন ধরনের পার্ক ও চিড়িয়াখানা। এখানে শিশুরা খেলাধুলা করে থাকে। এখানে শিশুদের ও বড়দের একই টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা থাকে। শিশুদের নিজেদের কথা হচ্ছে যে, তারা কোন ধরনের কর্ম করে না, তারা মনের আনন্দে পার্কে বেড়াতে আসে। তবুও তাদের পার্কে যাওয়ার ৫ দিন আগে থেকেই টিকিটের টাকা জমা করতে হয়। এছাড়া পার্কের ভেতরে ঢোকার পরও মনের মতো আনন্দ করতে পারে না। কারণ প্রতিটি খেলাতে উঠতে হলে, তাদেরকে আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। এছাড়া এখন পার্কে যাওয়ার কোন সুন্দর পরিবেশ নেই। সেখানে গিয়ে শিশু আনন্দ পাওয়ার চেয়ে খারাপ পরিবেশের দিকেই বেশি দৃষ্টি পরবে। যা শিশুর মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।
রাজশাহীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্কে-এ প্রবেশ করলে সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য একটি পরিবেশ লক্ষ করা যায়। এখানকার দোকানদার বলেন যে,এখানে নাকি প্রায় পুলিশ,র্যাব হানা দেয়। তবু কোন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে না। এতে করে একটি পার্ক নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি করছে। এতে করে আমাদের তরুণরা ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। অতএব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছোট সোনামনিদের আবেদনে এবং আমাদের তরুণদের সঠিক ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এ অবস্থার প্রতিকারে কোন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।
মোসা: হেনা খাতুন, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে জাহিদ ফটোগ্রাফির সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
নাগরিক সুবিধা,
মতামত,
রাজশাহী
রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১০
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জনজীবন
আমাদের বাংলাদেশের বৃহৎ একটি বিভাগ হচ্ছে রাজশাহী। আর এই রাজশাহীবাসীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে। তারা নিত্য দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই দূষিত পরিবেশ দ্বারা। রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজশাহী রেলভবন। এখানে প্রায় ১২০০ মানুষ কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু রেলভবনের আশে-পাশের পরিবেশ হচ্ছে দূষিত পরিবেশ। ভবনের সামনেই সাধারণ জনগণ মূত্রত্যাগ করে থাকেন। এতে করে পাশ দিয়ে যারা যাতায়াত করে তারা অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
রেলভবনে কর্মরত মো: আজিজুল হক (এএলডি), মো: আনোয়ার, অফিস সহকারী এবং প্রসাশনিক দায়িত্বে নিয়োজিত মো: রেজাউল হক, মো: নয়ন হোসেন প্রমুখের এর মতে, এই দূষিত বায়ুর কারণে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে।
এই রাস্তাটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষ ও গাড়ী চলাচল করে। ফুটপাতের উপর ময়লা জমে থাকার কারণে পথচারীরা সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। সাধারণ জনগণ বলেন, এই কাজটি করা ভাল নয়। অথচ তাদের মতো মানুষই কাজটি করে থাকে। এখানে ভ্রাম্যনাণ মানুষ এবং পথচারীদের জন্য মলমূত্র ত্যাগের কোন সুব্যবস্থা নেই।
এছাড়াও রেলভবনের পূর্ব দিকে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। যা ফেলে থাকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মরত ওয়ার্ড পরিস্কার করার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা।
এই রাস্তাটি দিয়ে দিনে প্রায় ২০,০০০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এতে করে তাদের জীবন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। তাদের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে। এখানকার মুদি দোকানদার ও এখানে অবস্থিত খাদ্য গুদামের গার্ড বলেন, সারা ওয়ার্ডের সমস্ত ময়লা গাড়ী করে এখানে এনে ফেলে আর রাতে প্রায় ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে সিটি কর্পোরশনের গাড়ী এসে তা তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সারাদিন যে দুর্গন্ধ ছড়ায় এতে করে তাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রেলভবনের কর্মকর্তাগণ এবং রেলগেটের আশে-পাশের মানুষের ও পথচারীদের অনুরোধ করেন যে, এই এলাকার পরিবেশ রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষ খুব জরুরীভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
প্রতিবেদক: মোসা: হেনা খাতুন, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে ভিপেজ এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
মতামত,
যোগাযোগ ব্যবস্থা,
রাজশাহী
সিটি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা
বিভাগীয় শহর রাজশাহী। রাজশাহী সিটি হাসপাতালে ৩ জন ডাক্তার ও ৪ জন নার্স কর্মরত আছেন। এই হাসপাতালে ইসিজি আলট্রাসনোগ্রাফী, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন আধুনিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সেবা দানের উদ্দেশ্য নিয়ে এই হাসপাতালটি কাজ করলেও বর্তমানে কিছু অব্যবস্থাপনার চিত্র লক্ষ করা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে টিকিট মূল্যের বৈষম্য আছে। তাদের দাবি জ্বর, সর্দি, কাশিসহ সাধারণ চিকিৎসার জন্য ১০ টাকায় টিকিট পেলেও প্রসূতি ও চক্ষু চিকিৎসার জন্য ৫০ টাকায় টিকিট কাটতে হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিটে এক মাস সেবা পাওয়া যায়। যেখানে সিটি হাসপাতালে ১০ টাকা দিয়ে মাত্র একবার চিকিৎসা পাওয়া যায়। এখানে ইসিজি আলট্রাসনোগ্রাফী কার্যকর আছে কিনা জানতে চাইলে এক রোগী জানান পরীক্ষার জন্য যে টাকা দিতে হয় তার চেয়ে কম খরচে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা করা যায়। তিনি আরো জানান, এই সকল পরীক্ষার মানের ব্যাপারে তাদের আস্থার অভাব আছে।
এখানে প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারির জন্য ৫০০ টাকা এবং সিজার অপারেশনের জন্য ৪,০০০ টাকা দিতে হয় বলে সেবাগ্রহণকারীরা জানায়।
এ সকল ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতাল প্রধান আমাদের কোন রকম তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি অপ্রশস্ত। ফলে এ্যাম্বুলেন্সসহ যে কোন প্রাইভেটকার যাতায়াতে অসুবিধা দেখা দেয়। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীদের জন্য তা কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মো: হাফিজুর রহমান, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে এম কে নাবিল এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয়া হয় না
সপুরা বিসিকের পার্শ্বে শাহী রাইস মিলস-এ যারা ধান শুকানো ভাঙ্গানোর কাজ করে তারা অত্যন্ত নিম্নমানের জীবন যাপন করে। তাদের সারাটা দিন কাটে ধান শুকিয়ে আর ধান ভেঙ্গে। ১০০ মন ধান-এ তাদের মাত্র ১২৫ টাকা করে দেয়া হয়। অর্থাত ২ মন ধানে বা প্রতি বস্তায় তাদের ১১ টাকা করে দেয়া হয়। ১ বস্তা ধান শুকিয়ে চাল করতে তাদের সময় লাগে প্রায় ৩-৪ দিন।
শাহী রাইস মিলস-এর কর্মী তাহেলা, জাহানারা, হাসনা, সোনাভান, জাহিদুল, সামাদ প্রমুখের কাছ থেকে জানা গেছে যে, এই স্বল্প আয়ে তাদের জন্য বর্তমান যুগে চালটা দিনে দিনে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় তাদের দুবেলা পেট ভরে দু’মুঠো মোটা চালের ভাত পাওয়াটাও দিন দিন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা আরো বললেন, তাদের যে পরিমান পরিশ্রম করানো হয় সে অনুযায়ী তারা তাদের ন্যায্য মজুরি পায় না। সারাদিন রোদে পুড়ে তাদের যে ঘাম ঝরে তারা তাদের সে কষ্টের পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পায় না।
শুধু এই মিলেই না আশে পাশের মিলগুলোতেও একই অবস্থা। তারা অনেকেই নিজেদের নাম লিখতে পারে না। তারা তাদের বাচ্চাদেরকেও ঠিকমত লেখাপড়া করাতে পারে না। বাচ্চারা একটু বড় হলেই তাদেরও একই কাজে নিযুক্ত করে। তাদের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো অপুষ্টিতে ভোগে।
মাহফুজা ফারহা, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে জান্কির সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
ময়লা আবর্জনা ফেলে দূষিত করা হচ্ছে পুকুরের পানি
সাগরপাড়া বল্লভগঞ্জ এর বিহারি পাড়ার মধ্যে একটি পুকুরের অবস্থা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। পুকুরের আশে-পাশের অধিবাসীরা মলমূত্রের ড্রেনের লাইন পুকুরে নামিয়ে রেখেছে। পলিথিন থেকে শুরু করে সব রকমের নোংরা আবর্জনা এমনকি পশু-পাখি বা মরা কুকুর পর্যন্ত পানিতে ফেলে পানি দূষিত করা হচ্ছে। আর এই পানিতে মানুষজন কাপড় ধোয়া, হাত-পা ধোয়া ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করে। কেন তারা এই পানি ব্যবহার করে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, পানির অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ পুকুরের পানিই ব্যবহার করতে হয়। এর পাশে আরেকটি পুকুরেরও একই অবস্থা। এই পুকুরের পানি দিয়ে অনেকে খাবার পর্যন্ত তৈরি করে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সাঈমা আক্তার, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে কলনোস এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)