মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০

আমাদের শিশুদের আনন্দলোক


শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক স্থানের খুবই প্রয়োজন। যেখানে শিশুরা তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পরিবেশ পাবে।

শিশুদের আনন্দের স্থান হচ্ছে শিশুপার্ক বা বিভিন্ন ধরনের পার্ক ও চিড়িয়াখানা। এখানে শিশুরা খেলাধুলা করে থাকে। এখানে শিশুদের ও বড়দের একই টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা থাকে। শিশুদের নিজেদের কথা হচ্ছে যে, তারা কোন ধরনের কর্ম করে না, তারা মনের আনন্দে পার্কে বেড়াতে আসে। তবুও তাদের পার্কে যাওয়ার ৫ দিন আগে থেকেই টিকিটের টাকা জমা করতে হয়। এছাড়া পার্কের ভেতরে ঢোকার পরও মনের মতো আনন্দ করতে পারে না। কারণ প্রতিটি খেলাতে উঠতে হলে, তাদেরকে আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। এছাড়া এখন পার্কে যাওয়ার কোন সুন্দর পরিবেশ নেই। সেখানে গিয়ে শিশু আনন্দ পাওয়ার চেয়ে খারাপ পরিবেশের দিকেই বেশি দৃষ্টি পরবে। যা শিশুর মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।

রাজশাহীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্কে-এ প্রবেশ করলে সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য একটি পরিবেশ লক্ষ করা যায়। এখানকার দোকানদার বলেন যে,এখানে নাকি প্রায় পুলিশ,র্যাব হানা দেয়। তবু কোন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে না। এতে করে একটি পার্ক নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি করছে। এতে করে আমাদের তরুণরা ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। অতএব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছোট সোনামনিদের আবেদনে এবং আমাদের তরুণদের সঠিক ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এ অবস্থার প্রতিকারে কোন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।

মোসা: হেনা খাতুন, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে জাহিদ ফটোগ্রাফির সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)

কোন মন্তব্য নেই: