পঞ্চগড় জেলার ৫টি উপজেলা জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। পঞ্চগড় জেলা শহর এলাকাই পঞ্চগড় পৌরসভা। পৌরসভার আয়তন ২১.৫০ বর্গ কিলোমিটার। ভাসমানসহ জনসংখ্যা প্রায় ৬৫,০০০(পয়ষট্টি হাজার) ভোটার সংখ্যা ২৭১৭ টি পুরুষ১৩৫৯১ জন ,নারী১৩৪২৪ জন,হোল্ডিং সংখ্যা ৭৫৯১, টি এর মধ্যে আবাসিক ৬২০৯ অনাবাসিক ১৩৮২ টি। পৌরসভার পাড়া মহাল্লা ৩১টি। ১৯৮৫ সালের ১৫ই জানুয়ারী পঞ্চগড় পৌরসভা যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে ৪ঠা মে পঞ্চগড় পৌরসভা প্রথম শ্রেণীতে উন্নত হয়।
পঞ্চগড় পৌরসভার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা : এস বিবি/বি,এফ,এস ০.৭৯৯কিঃমিঃ,আর সি,সি ৬.২৮ কিঃমিঃ, ডাব্লিউ বি এম ২.৪৬৪ কিঃমিঃ, বিটুমিনাস কার্পেটিং ৫৩.৭ কিঃমিঃ,কাঁচা রাস্তা ৩৮.০৬ কিলোমিটার।
পৌর এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শ্মশানঘাট ও কবর স্থানসহ ৬১টি।
পঞ্চগড় পৌরঃ শহরে সরকারী-বেসরকারী অধিকাংশ অফিস আদালত অবস্থিত। এ শহর এলাকায় সরকারী-বেসরকারী স্কুল কলেজ মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ৩৫টি, এছাড়াও আরও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরে পাকা ড্রেন ২৪.৮৭ কি .মি ,কাঁচা ড্রেন ৫০.৪০ কিঃ মিঃ।
অধিকাংশ স্থানে ডাস্টবিন না থাকায় পৌর নাগরিকরা তাদের বাসা বাড়ির ময়লা ড্রেনে ফেলে দেয়। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কারের প্রয়োজন থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পরিস্কার করতে পারছেনা। ড্রেনে ময়লা ফেলার কারণ উল্লেখ্য করে শহরের ইসলামবাগ মহল্লার বাসিন্দা এ হোসেন রায়হান বলেন পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই, তাই ডাস্টবিন খুঁজে খুঁজে ময়লা ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। আর ড্রেনে স্লাব নেই তাই মানুষ ড্রেনে ময়লা ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। নুতন বসি- এলাকার সখিনা বেগম বাসা বাড়ির আর্বজনার পলিথিন ব্যাগ রাস্তায় ছুঁড়ে ফেললেন দেখে মনে হয় পুরা রাস্তায় যেন ডাস্টবিন ।একই এলাকার জাহিরুল ইসলাম নাগরিক সুবিধার কথা উল্লেখ করে বলেন রাতে মশার অত্যাচার আর দিনে মাছি এ নিয়ে আমরা পৌরবাসী আছি।
ধাক্কামারা এলাকার মার্শাল ডিষ্ট্রিলারি মসজিদের ইমাম আরাফাত ইদ্রিস বলেন ড্রেন নির্মানের কয়েক দিনের মাথায় ড্রেন ভেঙ্গে শেষ। বাড়ীর সামনে ড্রেন হলেও স্লাব দেওয়া হয়নি ।তাই যে কোন সময় শিশু সহ যে কোন বয়সের মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হতে পাড়ে। ইসলামবাগ এলাকার বাসিন্দা অধ্যক্ষ সেলিমউদ্দীন বলেন পৌরসভা যে ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কথা সে ভাবে পৌর কর্তৃপক্ষ রাখে না । পৌর এলাকায় ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে । লোকবল বাড়ানোসহ নির্দিষ্ট স্থানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে আবর্জনা ফেলার পরামর্শ দেন তিনি। পঞ্চগড় জেলার দ্রত বানিজ্যিক প্রসার ঘটার ফলে শহরের জনসংখ্যা দ্রত বাড়ছে। পৌরসভার সাবেক কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন পৌর সভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পনাটি সুদূর প্রসারী নয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমার বাড়ীর সামনে যে ড্রেন হয়েছে তা রাস্তা থেকে অনেক উঁচু এবং যে দিকে ঢালু হওয়ার কথা সে দিকে উঁচু করে দেওয়ায় ময়লা পানি জমে আছে আর মশা মাছির জন্ম নিচ্ছে। বেশির ভাগ ড্রেন সরু হওয়ায় শহরের ভবিষ্যৎ ড্রেনেজ পরিকল্পনা পৌরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন