মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০
বর্জ্য অপসারণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ইতিবাচক উদ্যোগ
রাজশাহী মহানগরীর আয়তন খুব ছোট। এখানে অন্যান্য সমস্যার মধ্যে ময়লা আবর্জনা একটি প্রধান সমস্যা। মহানগীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ময়লা আর্বজনা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বাসা-বাড়ির ময়লা রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয়। অনেক সময় ময়লা আবর্জনা ড্রেনে ফেলা হয়। এর ফলে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা আবর্জনা অপসরণ না করার ফলে ময়লা আর্বজনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।
পূর্বে দেখা যেত, পিএন স্কুলের সামনে এবং সাগর পাড়াস্থ বড় বস্তায় দিনের পর দিন ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকত। এর ফলে স্কুলের ছাত্রীদের এবং পথচারীর চলাচলে অনেক সমস্যা হত। কিন্তু বর্তমানে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ১লা আগষ্ট ২০০৯ থেকে রাত্রীকালীন ময়লা আবর্জনা অপসারণ শুরু করে। এর আওতায় সিটি করপোরেশনের ছোট ছোট ভ্যান বাসা-বাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। এবং রাত ১০টার পর সিটি কর্পোরেশনের ট্রাকে করে ময়লা আবর্জনা ভাগাড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও ময়লা ফেলার জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ বাজারে ছোট ছোট ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শহরের রাস্তাঘাট পূর্বের তুলনায় অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যায়।
প্রতিবেদক: রাফি
(ছবি ফ্লিকার থেকে ভিপেজ এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
নাগরিক সুবিধা,
পরিবেশ,
রাজশাহী
ড্রেনের জন্য চরম দুর্ভোগে জনগণ
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডে তেরখাদিয়ায় (মধ্যপাড়া) পর্যাপ্ত ড্রেইন ব্যবস্থা নেই। ড্রেইন ব্যবস্থা থাকলেও তা ভাল নয়। ভাল না হওয়ার কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষার সময় ড্রেনের পানি ভরাট হয়ে উপরে উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। জনগণ চরম দূর্ভোগে পড়ে। আবার এক পাশের জনগণের ড্রেইন ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে আর অন্য পাশের জনগণের ড্রেইন ব্যবস্থার আওতয় আনা হয়নি – এমন এলাকাও রয়েছে।
এই এলাকায় প্রায় ১৫০০ জন লোকের বসবাস থাকা সত্ত্বেও ড্রেন ব্যবস্থা নাই। বর্তমান কমিশনারের নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকা সত্ত্বেও ড্রেন ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এতে করে মহল্লার জনগণের অসুবিধা হচ্ছে। এলাকার লোকজন ময়লা পানি রাখার জন্য হাউজ তৈরি করা সত্ত্বেও মাঝে মাঝেই হাউজের দুর্গন্ধ পানি উপচে রাস্তায় চলে আসে এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এই জন্য রাস্তায় চলাফেরার অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
মহল্লার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের দাবি তারা কমিশনারের কাছে পেশ করা সত্ত্বেও সমস্যাটির সমাধান হয়নি।
প্রতিবেদক: নয়ন
(ছবি ফ্লিকার থেকে সাসটেইনেবল সেনিটেসন এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
পানীয় জলের অভাব
বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহী অঞ্চলে পানীয় জলের অভাব ভবিষ্যতে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। যা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চল গড় বৃষ্টিপাত কম হয়। আর প্রতি বছরই পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাওয়ায় বর্তমানে বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করছে। সাধারণ নলকূপগুলোতে বছরের ৩-৪ মাস পানি পাওয়া যায়।
রাজশাহীর পবা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর একটি পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে এই উপজেলার পানির গড় স্তর ছিল ২০ ফুট নিচে। যা ১৯৯৫ সালে ৩০ ফুট-এ পৌঁছে। এরপর ২০০৫ এবং ২০০৮ সালে এই স্তর যথাক্রমে ৩৫ ফুট ও ৪৯ ফুট এ নেমে যায়। ফলে পানীয় জলের এক বিরাট সমস্যা দেখা দেয়।
গভীর নলকূপগুলো স্থাপন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ জনগণ এ থেকে সুবিধা গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাব ক্রমশ সংকট বৃদ্ধি করছে। যার প্রভাব পুরো অঞ্চল ছড়িয়ে পড়েছে।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান (মুন্না), রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে ওয়াটার ডট অর্গের সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
নাগরিক সুবিধা,
পরিবেশ,
রাজশাহী
আমাদের শিশুদের আনন্দলোক
শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক স্থানের খুবই প্রয়োজন। যেখানে শিশুরা তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পরিবেশ পাবে।
শিশুদের আনন্দের স্থান হচ্ছে শিশুপার্ক বা বিভিন্ন ধরনের পার্ক ও চিড়িয়াখানা। এখানে শিশুরা খেলাধুলা করে থাকে। এখানে শিশুদের ও বড়দের একই টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা থাকে। শিশুদের নিজেদের কথা হচ্ছে যে, তারা কোন ধরনের কর্ম করে না, তারা মনের আনন্দে পার্কে বেড়াতে আসে। তবুও তাদের পার্কে যাওয়ার ৫ দিন আগে থেকেই টিকিটের টাকা জমা করতে হয়। এছাড়া পার্কের ভেতরে ঢোকার পরও মনের মতো আনন্দ করতে পারে না। কারণ প্রতিটি খেলাতে উঠতে হলে, তাদেরকে আলাদা আলাদা করে টাকা দিতে হয়। এছাড়া এখন পার্কে যাওয়ার কোন সুন্দর পরিবেশ নেই। সেখানে গিয়ে শিশু আনন্দ পাওয়ার চেয়ে খারাপ পরিবেশের দিকেই বেশি দৃষ্টি পরবে। যা শিশুর মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।
রাজশাহীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্কে-এ প্রবেশ করলে সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য একটি পরিবেশ লক্ষ করা যায়। এখানকার দোকানদার বলেন যে,এখানে নাকি প্রায় পুলিশ,র্যাব হানা দেয়। তবু কোন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে না। এতে করে একটি পার্ক নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি করছে। এতে করে আমাদের তরুণরা ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। অতএব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছোট সোনামনিদের আবেদনে এবং আমাদের তরুণদের সঠিক ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, এ অবস্থার প্রতিকারে কোন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।
মোসা: হেনা খাতুন, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে জাহিদ ফটোগ্রাফির সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
নাগরিক সুবিধা,
মতামত,
রাজশাহী
রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১০
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জনজীবন
আমাদের বাংলাদেশের বৃহৎ একটি বিভাগ হচ্ছে রাজশাহী। আর এই রাজশাহীবাসীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে। তারা নিত্য দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই দূষিত পরিবেশ দ্বারা। রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজশাহী রেলভবন। এখানে প্রায় ১২০০ মানুষ কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু রেলভবনের আশে-পাশের পরিবেশ হচ্ছে দূষিত পরিবেশ। ভবনের সামনেই সাধারণ জনগণ মূত্রত্যাগ করে থাকেন। এতে করে পাশ দিয়ে যারা যাতায়াত করে তারা অসুবিধার সম্মুখীন হয়।
রেলভবনে কর্মরত মো: আজিজুল হক (এএলডি), মো: আনোয়ার, অফিস সহকারী এবং প্রসাশনিক দায়িত্বে নিয়োজিত মো: রেজাউল হক, মো: নয়ন হোসেন প্রমুখের এর মতে, এই দূষিত বায়ুর কারণে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে।
এই রাস্তাটা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষ ও গাড়ী চলাচল করে। ফুটপাতের উপর ময়লা জমে থাকার কারণে পথচারীরা সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। সাধারণ জনগণ বলেন, এই কাজটি করা ভাল নয়। অথচ তাদের মতো মানুষই কাজটি করে থাকে। এখানে ভ্রাম্যনাণ মানুষ এবং পথচারীদের জন্য মলমূত্র ত্যাগের কোন সুব্যবস্থা নেই।
এছাড়াও রেলভবনের পূর্ব দিকে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। যা ফেলে থাকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মরত ওয়ার্ড পরিস্কার করার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা।
এই রাস্তাটি দিয়ে দিনে প্রায় ২০,০০০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এতে করে তাদের জীবন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। তাদের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে। এখানকার মুদি দোকানদার ও এখানে অবস্থিত খাদ্য গুদামের গার্ড বলেন, সারা ওয়ার্ডের সমস্ত ময়লা গাড়ী করে এখানে এনে ফেলে আর রাতে প্রায় ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে সিটি কর্পোরশনের গাড়ী এসে তা তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সারাদিন যে দুর্গন্ধ ছড়ায় এতে করে তাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রেলভবনের কর্মকর্তাগণ এবং রেলগেটের আশে-পাশের মানুষের ও পথচারীদের অনুরোধ করেন যে, এই এলাকার পরিবেশ রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষ খুব জরুরীভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
প্রতিবেদক: মোসা: হেনা খাতুন, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে ভিপেজ এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
লেবেলসমূহ:
মতামত,
যোগাযোগ ব্যবস্থা,
রাজশাহী
সিটি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা
বিভাগীয় শহর রাজশাহী। রাজশাহী সিটি হাসপাতালে ৩ জন ডাক্তার ও ৪ জন নার্স কর্মরত আছেন। এই হাসপাতালে ইসিজি আলট্রাসনোগ্রাফী, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন আধুনিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সেবা দানের উদ্দেশ্য নিয়ে এই হাসপাতালটি কাজ করলেও বর্তমানে কিছু অব্যবস্থাপনার চিত্র লক্ষ করা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে টিকিট মূল্যের বৈষম্য আছে। তাদের দাবি জ্বর, সর্দি, কাশিসহ সাধারণ চিকিৎসার জন্য ১০ টাকায় টিকিট পেলেও প্রসূতি ও চক্ষু চিকিৎসার জন্য ৫০ টাকায় টিকিট কাটতে হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিটে এক মাস সেবা পাওয়া যায়। যেখানে সিটি হাসপাতালে ১০ টাকা দিয়ে মাত্র একবার চিকিৎসা পাওয়া যায়। এখানে ইসিজি আলট্রাসনোগ্রাফী কার্যকর আছে কিনা জানতে চাইলে এক রোগী জানান পরীক্ষার জন্য যে টাকা দিতে হয় তার চেয়ে কম খরচে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা করা যায়। তিনি আরো জানান, এই সকল পরীক্ষার মানের ব্যাপারে তাদের আস্থার অভাব আছে।
এখানে প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারির জন্য ৫০০ টাকা এবং সিজার অপারেশনের জন্য ৪,০০০ টাকা দিতে হয় বলে সেবাগ্রহণকারীরা জানায়।
এ সকল ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতাল প্রধান আমাদের কোন রকম তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি অপ্রশস্ত। ফলে এ্যাম্বুলেন্সসহ যে কোন প্রাইভেটকার যাতায়াতে অসুবিধা দেখা দেয়। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীদের জন্য তা কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মো: হাফিজুর রহমান, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে এম কে নাবিল এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
শ্রমিকদের তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয়া হয় না
সপুরা বিসিকের পার্শ্বে শাহী রাইস মিলস-এ যারা ধান শুকানো ভাঙ্গানোর কাজ করে তারা অত্যন্ত নিম্নমানের জীবন যাপন করে। তাদের সারাটা দিন কাটে ধান শুকিয়ে আর ধান ভেঙ্গে। ১০০ মন ধান-এ তাদের মাত্র ১২৫ টাকা করে দেয়া হয়। অর্থাত ২ মন ধানে বা প্রতি বস্তায় তাদের ১১ টাকা করে দেয়া হয়। ১ বস্তা ধান শুকিয়ে চাল করতে তাদের সময় লাগে প্রায় ৩-৪ দিন।
শাহী রাইস মিলস-এর কর্মী তাহেলা, জাহানারা, হাসনা, সোনাভান, জাহিদুল, সামাদ প্রমুখের কাছ থেকে জানা গেছে যে, এই স্বল্প আয়ে তাদের জন্য বর্তমান যুগে চালটা দিনে দিনে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় তাদের দুবেলা পেট ভরে দু’মুঠো মোটা চালের ভাত পাওয়াটাও দিন দিন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা আরো বললেন, তাদের যে পরিমান পরিশ্রম করানো হয় সে অনুযায়ী তারা তাদের ন্যায্য মজুরি পায় না। সারাদিন রোদে পুড়ে তাদের যে ঘাম ঝরে তারা তাদের সে কষ্টের পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পায় না।
শুধু এই মিলেই না আশে পাশের মিলগুলোতেও একই অবস্থা। তারা অনেকেই নিজেদের নাম লিখতে পারে না। তারা তাদের বাচ্চাদেরকেও ঠিকমত লেখাপড়া করাতে পারে না। বাচ্চারা একটু বড় হলেই তাদেরও একই কাজে নিযুক্ত করে। তাদের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো অপুষ্টিতে ভোগে।
মাহফুজা ফারহা, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে জান্কির সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
ময়লা আবর্জনা ফেলে দূষিত করা হচ্ছে পুকুরের পানি
সাগরপাড়া বল্লভগঞ্জ এর বিহারি পাড়ার মধ্যে একটি পুকুরের অবস্থা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। পুকুরের আশে-পাশের অধিবাসীরা মলমূত্রের ড্রেনের লাইন পুকুরে নামিয়ে রেখেছে। পলিথিন থেকে শুরু করে সব রকমের নোংরা আবর্জনা এমনকি পশু-পাখি বা মরা কুকুর পর্যন্ত পানিতে ফেলে পানি দূষিত করা হচ্ছে। আর এই পানিতে মানুষজন কাপড় ধোয়া, হাত-পা ধোয়া ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করে। কেন তারা এই পানি ব্যবহার করে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, পানির অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে এ পুকুরের পানিই ব্যবহার করতে হয়। এর পাশে আরেকটি পুকুরেরও একই অবস্থা। এই পুকুরের পানি দিয়ে অনেকে খাবার পর্যন্ত তৈরি করে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সাঈমা আক্তার, রাজশাহী
(ছবি ফ্লিকার থেকে কলনোস এর সৌজন্যে ক্রিইটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার দুরবস্থা
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য চাই খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এ পাঁচটি অধিকার ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব না। মানুষ চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে যায়। বিশেষ করে সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে মানুষ বেশি গিয়ে থাকে। আমাদের দেশে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বিনামূল্যে সেবা দান করে থাকে। আমরা সাধারণ জনগোষ্ঠী বেশির ভাগ সময়ে সরকারি সেবাদান প্রতিষ্ঠানসমূহে গিয়ে থাকি। কিন্তু সেবা পাবার ক্ষেত্রে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না। আমাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতালের ১৬ নং ওয়ার্ডটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাওয়া যায় যে বাস্তবে এটি কত বড়। যে ওয়ার্ডের বারান্দায়ও রোগীদের জায়গা হয়। রোগীদের আশ্রয় নিতে হয়, হাসপাতালের রাস্তার উপর। যেখানে না আছে স্যালাইনের... না আছে বিদ্যুৎ এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। যেখানে ডাক্তার বা সেবিকারাও তাদের সেবা ঠিকমত দেয় না। ১৬ নং ওয়ার্ডটিতে বেডের সংখ্যা ৪০ টি, কিন্তু ঐ ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা ১৫০ এরও অধিক। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উচিত ওয়ার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ৪০ টি রোগীর দেখাশোনার জন্য ২ টি নার্স ও একটি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আছেন। তাদের একার পক্ষে সম্ভবপর হয় না রোগীর সঠিক সেবাদান করা। এ অবস্থা চলতে থাকলে হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না। হাসপাতালের ১৫ নং ও ১৬ নং ওয়ার্ড এত অপরিস্কার যে রোগী সুস্থ না হয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ ওয়ার্ড গুলোতে ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও কোন মানুষই এর ব্যবহার করেন না। এছাড়া অনেক অপরিচিত লোকদের সমাগম হয়ে থাকে হাসপাতালে। ফলে রোগীরা তাদের জানমালের অনিরাপত্তায় ভোগেন। তাছাড়া আরো দেখা গেছে যে সেবিকারা তাদের সঠিক সেবাদানে অনীহা দেখান। তাদের অনীহার কারনে অনেক সময় রোগীর মৃত্যুও ঘটে। বিশেষ করে সেবিকা যারা ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকেন তারা সাধারণ জনগণের ডাকে সাড়া দেন না। ১৫/১৬ নং ওয়ার্ডে রাতের বেলায় যেসব সেবিকা দায়িত্বে থাকনে তারা রাতের বেলায় ভেতরের রুমে গিয়ে ঘুমান। সেবিকারা রোগীদের সাথে কখনো ভালো ব্যবহার করেন না। ওয়ার্ডের দায়িত্বে যারা থাকেন তারা রোগীর অধিকারের ঔষধ পথ্য ও খাবার রোগীদের না দিয়ে নিজেরাই ভোগ করেন। সেক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত জনগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেক সময় হাসপাতালে অনেক দরিদ্র রোগী ভর্তি থাকে যাদের পক্ষে ৫০০-১০০০ টাকা খরচ করে ঔষধ ক্রয় করা সম্ভব হয় না। অনেক জনগণই তাদের অধিকার সম্পর্কে জানে না। সেক্ষেত্রে রোগীটি কিভাবে সঠিক সেবা পাবে। সচেতন নাগরিকের উচিত সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে জানানো। হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা আরো শোচনীয়। পানির সঠিক ব্যবস্থা অনেক সময়ই পাওয়া যায় না। বাথরুমের পাশে ৫ মিনিট দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। সেখানে অনেক দুর্গন্ধ। রোগীরা সুস্থ্য হবার জন্য এখানে এসে অসুস্থ পড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন এ ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করে দেখে, এটি নিরুপণের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবার মান উন্নয়নে সহযোগীতা করুন।
শামীমা আহমেদ কথা, রাজশাহী
মশা নিধনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন
(ছবি: জেমস জর্ডানের সৌজন্যে। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়া এলাকার শান্তিবাগ লেন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এলাকা। এ এলাকায় মশার উপদ্রপ এলাকার মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এ মুহুর্তে মশার কামড়ে অনেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। পরিচ্ছন্ন মহানগর তৈরিতে নাগরিক ও সিটি করপোরেশনকে আরো জোরদার ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়োজন
রাজশাহী শহরের রাস্তার গলিগুলোতে ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করার জন্য বৃষ্টির সময় অল্প পানিতে রাস্তার উপরে পানি উপরে উঠে আসে। ফলে জনসাধারনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ড্রেনের সাথে বাড়ির টয়লেটের সংযোগ থাকার কারণে প্রচন্ড দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এজন্য জন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। জনসাধারণের এ দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মো: তারিক আস সাদিক, রাজশাহী
মো: তারিক আস সাদিক, রাজশাহী
আবর্জনা পরিস্কারে চাই আর একটু সচেতনতা
(ছবি: ফ্লিকার ব্যবহারকারী ভাইপজ এর সৌজন্যে। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
মহানগরের আবর্জনা পরিস্কারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি দিনের আবর্জনা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী প্রতিদিন দুপরের পর এলাকায়/মহল্লায় গিয়ে বাঁশি বাঁজিয়ে বাড়ী থেকে ময়লা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখেন, যা প্রতিদিন রাতের বেলায় সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়ে একটা ঘটনা আপনাদের কাছে তুলে ধরতে চাই। ফায়ার সার্ভিস মোড় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত অনেক মানুষের যাতায়াত। ফায়ার সার্ভিস মোড়টি চারটি রাস্তার সংযোগস্থল। ফায়ার সার্ভিস মোড়ের আশে পাশের এলাকার আবর্জনা পরিস্কারকগণ যে আবর্জনাগুলো বাড়ী বাড়ী থেকে নিয়ে আসছেন সেগুলো নিয়ে এসে মোড়ের উত্তর দিকটার রাস্তার ওপরে ফেলে রাখছেন। এ আবর্জনাগুলো প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে রাত্রী ৮ টা পর্যন্ত এখানে থাকছে। এই আবর্জনাগুলো পরিস্কার করা হচ্ছে কিন্তু এই রকম জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওপর না রেখে পরিবেশ দুষণ না করে একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা উচিত নয় কি?
রায়হান, রাজশাহী
স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা
স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভাল না থাকলে কোন কিছু ভাল থাকে না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। যা অন্য খাতে কমই হয়। দুর্নীতি বেশির ভাগ হয় সরকারি হাসপাতালগুলোতে। অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালের চেয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখার জন্য মনোনিবেশ করে। এতে করে দেখা যায় সরকারি হাসপাতালের রোগীরা নির্দিষ্ট পরিমান সেবা পাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে যে সব রোগী আসে তাদের বেশির ভাগ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে থাকে। তাদের পক্ষে বেশির ভাগ সময়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়ে উঠে না। রাজশাহী শহরেও এই সমস্যটা দেখা যায়। রাজশাহী শহরের বড় বড় চিকিৎসকরা প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগীকে দেখতে বেশি পছন্দ করে। আবার অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসক গণ রোগী দেখলেও পর্যাপ্ত পরিমান ঔষধ প্রদান করেন না। কিন্তু ঠিকই সেই পরিমান ঔষধ রোগীর জন্য সরকারী হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নয়ন, রাজশাহী
নয়ন, রাজশাহী
জীবনের মূল্য কতটুকু
রাজশাহী মহানগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক গৌরহাঙ্গা গ্রেটার রোড। এই সড়কে বর্ণালীর মোড় নামক স্থানে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আলোর জন্য একজন মটর সাইকেল আরোহী মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান। সেখানে স্পিড ব্রেকার থাকলে ও ঢাকাগামী একটি বাস অতিদ্রুত ... দিক ছুটে আসে এবং কোন রকম গতি না কমিয়েই মটর সাইকেলটিকে অতিক্রম করে। ট্রাফিক পুলিশ এক রকম নীরব ভূমিকা পালন করেন। স্থানীয়দের মতে এরকম ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে স্পিড-ব্রেকার থাকলেও সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না বা সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ বড় যানবাহনগুলোর ক্ষেত্রে সেসব স্থানে গতি কমানো হয় না। ফলে রাস্তা পারাপারেও অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। ট্রাফিক আইন অমান্য করে রাস্তা পারাপার, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা এবং চালকদের অসচেতনতা প্রতিনিয়ত এ সকল দুর্ঘটনার জন্ম দেয়। নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ জীবন। আর তাই সময় বাঁচাতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া কোন ভাবেই উচিত নয়। একথা মনে রাখতে হবে যে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে প্রশাসনকে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি জনমতে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
মো: মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না, রাজশাহী
মো: মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না, রাজশাহী
লেবেলসমূহ:
মতামত,
যোগাযোগ ব্যবস্থা,
রাজশাহী
দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শহরবাসীর ভোগান্তি
(ছবি: ফ্লিকার ব্যবহারকারী ভাইপজ এর সৌজন্যে। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত)
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন ওয়ার্ড সমূহ পরিবেশ দূষণ, রোগ বালাই ও মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। রাজশাহী মহানগরীতে আয়তনের তুলনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। ফলে বাসা বাড়ির ব্যবহৃত নোংরা পানি রাস্তায় পড়ে থাকছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হয়। অপরদিকে যে সব এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, যে সব এলাকায় ড্রেন সমূহ যথাযথ পরিস্কার করা হয় না। ফলে ড্রেনের পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে পরিবেশ দূষিত হয়। রাজশাহী শহরের প্রান কেন্দ্র সাহেববাজারের ড্রেন সমূহ সঠিকভাবে পরিস্কার না করার জন্য বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে রাস্তায় পঁচা পানি জমে পথচারীর চলাচলে ভোগান্তি দেখা যায়। সাহেব বাজারের ড্রেন সমূহ আবর্জনায় ভরা এবং ড্রেনের উপর কোন ঢাকনা নেই। ফলে পথচারীরা দুর্ঘটনায় পড়ে। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
শেখ রাফি আহমেদ, রাজশাহী
দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং রাস্তাঘাট সরু হওয়ায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডটি রানীনগর এলাকায় অবস্থিত এবং এর এরিয়া অনেক বড়। এই এলাকায় প্রায় আট হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু রানীনগর এলাকায় বর্ষার সময় দেখা যায় বৃষ্টির পানি নেমে যেতে ২ দিন সময় লেগে যায়। ফলে মশা-মাছি এবং অনেক রোগ জীবাণু বংশ বিস্তার করে। আবার দেখা যায় এই এলাকায় রাস্তাগুলো অনেক পুরানো হয়ে গেছে। রাস্তায় পানির লাইন, গ্যাসের লাইন ইত্যাদি কাজ করে, কিন্তু সেগুলোর কোন মেরামত করা হয় না। এ কারণে দেখা যায় রাতের সময় চলা ফেরা করতে অসুবিধা হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আসার জন্য কতৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী
চাই পুকুর সংস্কার
এক পাশ দিয়ে স্কুল কলেজ হেঁটে যাচ্ছে শত শত ছাত্র/ছাত্রী এবং চলছে হাজার হাজার যানবাহন। এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে রাজশাহী কলেজের মহিলা ছাত্রী নিবাস আর অন্যপাশে আছে ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্ট। এদের মাঝখানে রয়েছে একটি পুকুর। যে পুকুরটি ব্যবহার করা হচ্ছে নিত্যদিন। কেউ ব্যবহার করছে ময়লা পরিষ্কারের জন্য আবার কেউ ব্যবহার করছে ময়লা আবর্জনা ফেলার কাজে। কর্তৃপক্ষ কি বুঝতে পারছেন ঘটনাটি কি ঘটছে? শুধু এটাই নয় শহরের বিভিন্ন স্থানে যে সব পুকুরগুলো রয়েছে তা সাধারণত ব্যবহৃত হয় ডাস্টবিন হিসেবে। লক্ষ্যণীয় যে এই আবর্জনা ফেলা অস্বাস্থ্যকর পুকুরে স্থানীয় লোকজন গোসলসহ কাপড় জীবাণু মুক্ত করার কাজ করে থাকে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না যে কাপড় জীবাণুমুক্ত করছে না বরং জীবাণুযুক্ত করছে। এই পুকুরগুলো সংস্কার করা হলে এটা মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি এবং রাজশাহী মহানগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী
বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১০
সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা
একজন রোগী হাসপাতালের গেটের সামনে ৩ ঘন্টা ধরে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করছে। আবার মেইন গেটের সামনে টিকিটের জন্য প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করেছে। টিকা কেন্দ্রের বাচ্চা ও মায়েরা প্রায় টি টি টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের দরজা এখনো তালা বন্ধ আছে। আমি যখন সামনের গেট দিয়ে বের হচ্ছি তখন দেখি জরুরী বিভাগের ঔষুধ সরবরাহের দরজা কেবল খুলল। সময় তখন সকাল ১০ টা। কার কাছে এসব বলব।
মো: মনিরা পারভীন, পঞ্চগড়
মো: মনিরা পারভীন, পঞ্চগড়
অজ্ঞ বাবা বিজ্ঞ ডাক্তার
খাল পাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মো: রকিবুল ইসলাম অভিযোগ করলেন যে এখানে এক বছরের শিশুর ভালভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয় না। তিনি বলেন যে, চবিবশ ঘণ্টাপর ঐ বিভাগের ডাক্তার একবার আসেন। এমতাবস্থায় তাঁর সন্তানের জরুরী কোন সমস্যা দেখা দিলে কোন ডাক্তার তিনি পান না। এই প্রতিবেদনে তৈরির সময় তিনি আরও বলেন যে গতরাতে অর্থাৎ ১২-১০-১০ তারিখে তাঁর সন্তানকে একটি স্যালাইন শরীরে দেওয়া হয়। স্যালাইন শেষের দিকে, কিন্তু কোন নার্স সময় মত না থাকায় তিনি নিজের হাতেই উক্ত স্যালাইন খুলতে বাধ্য হন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, নার্সরা কর্তব্যপরায়ন নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পঞ্চগড়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পঞ্চগড়
সদর হাসপাতালে রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন কি?
আমরা সকলে সেবা পাওয়ার জন্য বা রোগ হলে সদর হাসপাতালে যাই। কিন্তু আমরা সেবাগুলো সঠিকভাবে পাই না। অনেক সময় দেখা যায় যে ডাক্তার আসার কথা সকাল ৮টায়, অথচ দেখা যায় ডাক্তার আসে ৯টায়। আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ লাইন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঔষুধের জন্য অথচ ডাক্তার সময় মত উপস্থিত না হওয়ার জন্য ঔষুধ পাচ্ছে না। বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে।
মোছা: লাভলী আক্তার
মোছা: লাভলী আক্তার
সদর হাসপাতালে একদিন
আমি সামনের গেটে দেখলাম ভ্যানে রোগী শুয়ে আছে। দেখলাম টিকিট নেওয়ার অনেকেই লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে। ডাক্তার সময় মত আসার কথা কিন্তু আসে নাই। হাসপাতালের কক্ষগুলি অপরিস্কার। স্বাস্থ্য সেবার রুম বন্ধ ছিল। যেখানে সেখানে আবর্জনা পড়ে আছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটির এমন দশা আমাকে ব্যথিত করেছে।
সানজিদা আক্তার, পঞ্চগড়
সানজিদা আক্তার, পঞ্চগড়
হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সরবরাহ
পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল বিপুল সংখ্যক জনগণের চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার রোগী ভর্তি হয়। কিন্তু তারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এসেও সঠিক চিকিৎসা ও ঔষধ ভালভাবে পাচ্ছে না। হাসপাতালে যেয়ে আমরা অনেক সমস্যা প্রত্যক্ষ করেছি। হাসপাতালের বেডের চাদরগুলো নোংরা। অনেক বেডে চাদর নেই। থুতু, পানের পিক, ড্রেনে পায়খানা জমে থাকে। দরজার কাছেই ডাস্টবিন। এর দুর্গন্ধ রোগীদের আরও অসুস্থ করছে। দরিদ্র জনগণ সরকারী ঔষধ নিয়মিত পায় না। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পঞ্চগড়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পঞ্চগড়
ড্রেনের অবস্থা বেহাল
পঞ্চগড় পৌরসভার ইসলাম একটি এলাকা, যেখানে রাস্তার পাশের ড্রেনের চওড়া ১ ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি হবে। এতে ময়লা ও কাদামাটি জমে ড্রেনের পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ড্রেনে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং মশা মাছির জন্ম হচ্ছে। যা এলাকাবাসীর সুস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ সমস্যা সমাধানে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
মো: আমিনুর রহমান, পঞ্চগড়
মো: আমিনুর রহমান, পঞ্চগড়
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডটি বেশি অপরিচ্ছন্ন
পঞ্চগড় সরকারি হাসপাতালের নিচতলায় গিয়ে আমার বেশ ভাল লাগল। নিচতলটি মোটামুটি পরিস্কার মনে হয়েছিল। কিন্তু দোতলায় যাওয়ার পর আমি ব্যতিক্রম অবস্থা লক্ষ করি। কারণ সেখানকার কক্ষগুলো খুবই অপরিস্কার। বেডশিটগুলো ময়লা। তার পরে আমি মহিলা ওয়ার্ড এবং পুরুষ ওয়ার্ডে যাই। মহিলা এবং পুরুষ ওয়ার্ডগুলো মোটামুটি পরিস্কার ছিল। সবশেষে আমি শিশু ওর্য়াডে যাই। সেখানকার অবস্থা আমার খুবই খারাপ মনে হয়েছে। কারণ অন্য সব ওয়ার্ডের তুলনায় শিশু ওয়ার্ডটি বেশি অপরিস্কার ছিল। আমি সেখানকার টয়লেটগুলোতে যাই, টয়লেটগুলো ছিল খুব অপরিস্কার। একটি শিশু বারান্দায় বসে মলমূত্র ত্যাগ করছিল। আমার পড়ে হয় শিশুদের ওয়ার্ডটি সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাদের কক্ষ, টয়লেট ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
জেসমিন আকতার জলি, পঞ্চগড়
জেসমিন আকতার জলি, পঞ্চগড়
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের সুচিকিৎসা অভাব
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে পঞ্চগড় উত্তরবঙ্গের একটি জেলা। এই জেলা অন্যান্য জেলার তুলনায় সব দিকে অনুন্নত। বেশি শিল্প কারখানা না থাকায় এখানকার মানুষ অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যে জীবন-যাপন করে। ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা প্রয়োজন। পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা একটি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় রাতের বেলা একজন রোগীকে বাংলাবান্ধা, আটোয়ারী বা দেবীগঞ্জ থেকে মূর্মুযু অবস্থায় জরুরী বিভাগে গিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তারকে দেখতে পায় না। এদিকে মুমূর্যূ রোগীকে রেখে সাথের লোকজন চিকিৎসা কর্মীদের খোঁজা শুরু করেন। এক সময় চিকিৎসা কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যায়। তাদেরকে এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে গেলে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখান। শুধু তাই নয়, যিনি বর্হিবিভাগে রোগীদের টিকেট প্রদান করেন তাকেও সময়মত পাওয়া যায় না। অনেক সময় দেখা যায় বাহিরে অনেক রোগী লাইন ধরে দাড়িয়ে আছেন, অথচ তিনি নাই। আবার টিকেটের দাম ৪.৫০ টাকা হলেও ৫.০০টাকা দেওয়া হলে ৫০ পয়সা ফেরত দেননা। ডাক্তাররা হাসপাতালের রোগীদের বেশি সময় না দিয়ে ক্লিনিকে বেশি সময় ব্যয় করেন। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ বিষয়টি যেন অত্যন্ত সহানুভূতির সাথে দেখা হয়।
আঁখি, পঞ্চগড়
আঁখি, পঞ্চগড়
বর্জ্য যখন যমদূত
পঞ্চগড় পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা পঞ্চগড় হিমালয়ের কন্যা বলে খ্যাত। সবুজ শ্যামল এ জেলাটি প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। পাঁচটি থানার সমন্বয়ে গঠিত এ জেলার আকৃতি নেহাৎ ছোট নয়। জেলা শহরের পৌরসভাটি তাদের কার্যক্রমে বিশেষ কৃতীত্বের দাবীদার। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য বর্তমানে এ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই শোচনীয়। জেলা শহরের প্রধান দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮ হাজার ছাত্র/ছাত্রী পড়ালেখা করে। কিন্তু উভয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সড়কগুলোর পাশের ড্রেনের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বেশির ভাগ জায়গায় ড্রেনের উপর ঢাকনা না থাকায় প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এছাড়া ড্রেনের বর্জ্য প্রায়ই রাস্তার উপর দীর্ঘদিন তুলে রাখা হয়। এর ফলে পরিবেশ যেমন দূষিত হয়ে গ্রাম বাসীর জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে, ঠিক তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় চলাচলে ভীষণ দূর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্জে উৎকট গন্ধ যেন যমদূত সদৃশ। এ গন্ধ নাকে ঢুকলে যেন পেট থেকে নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে আসতে চায়। কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে জানা যায় বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে নির্বিকার। হবে হবে, হচ্ছে করে বিষয়গুলো বছরের পর বছর ধরে সমাধান হয়নি। জনস্বার্থ রক্ষার্থে বিষয়টি বিবেচনায় এনে এর আশু প্রতিকার করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মো: বায়েজীদ বোস্তামী, পঞ্চগড়
মো: বায়েজীদ বোস্তামী, পঞ্চগড়
পঞ্চগড় সরকারি সদর হাসপাতালের দুর্গন্ধময় টয়লেট
পঞ্চগড় সরকারী সদর হাসপাতালের টয়লেটটি অত্যন্ত নোংরা ও দুর্গন্ধময়। একটি হাসপাতাল যা কিনা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়, আজ তা রোগ ছড়ানোর কারখানায় পরিণত হয়েছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি অবিরত পানি পড়ছে, প্যান ভেঙ্গে পড়ে আছে, নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ। নিয়মিত পরিস্কারের অভাবে টয়লেটটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত। হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অনুরোধ করছি টয়লেটটি যেন নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। আর যারা ব্যবহারকারী তাদের সহযোগিতা ছাড়া এটি পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে হাসপাতালের টয়লেটটি পরিচ্ছন্ন রাখতে।
সুরাইয়া, পঞ্চগড়
সুরাইয়া, পঞ্চগড়
বর্জ্য নয়, যেন বিষ
বর্জ্য উপযুক্ত জায়গায় অপসারণ না করলে পুরো এলাকার পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ কথা সচেতন নাগরিক মাত্রই স্বীকার করবেন। পঞ্চগড় বাজারের সামনে একটি বর্জের স্তুপ তৈরি হয়েছে। পঁচা দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির সহাবস্থান পুরো এলাকাটির পরিবেশকে দূষিত করছে। সেখানকার স্থানীয় দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য অপসারণ ও একটি স্থায়ী ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করে আসছে। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সমস্যাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে পৌরসভা কতৃপক্ষকে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো: রিপন, পঞ্চগড়
মো: রিপন, পঞ্চগড়
সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০১০
পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতাল: পঞ্চগড়ের একমাত্র চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রধান প্রতিষ্ঠান
মহকুমা স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসাবে পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় পঞ্চগড় দিনাজপুর জেলার অধিনে মহকুমা ছিল। ১৯৮৩ সালে পঞ্চগড় জেলা ঘোষণার সাথে সাথে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় । ১৯৯৮ সালে হাসপাতালটির নামকরণ করা হয় পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতাল। ২০০৩ সালে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের ভবন উন্নয়নসহ হাসপাতালটির শয্যাসংখ্যা ১০০ তে উন্নীত করা হয়।
পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের ইনডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। জরুরী বিভাগে বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যা নিযে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৪ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। এছাড়াও আউটডোরে কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০৬ জন রোগী নানা অসুখ বিসুখের চিকিৎসা নিয়ে থাকে। রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সরকারীভাবে ঔষধ, ব্যান্ডেজ, তুলা, মলম, স্যালাইন, ইনজেকশন, সিরিন্জ, খাওয়ার স্যালাইন, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, মলমূত্র পরীক্ষা, এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। হাসপাতালে কিছু রোগের অপারেশনও করা হয়। এর মধ্যে হার্নিয়া, এপেনডি সাইড, টিউমার, ঘা, ইউট্রাসের অপারেশন এবং মাতৃত্বকালীন সকল চিকিৎসাসহ সিজার উল্লেখযোগ্য। খাদ্য বিষক্রিয়ায় বা বিষপানে অসুস্থ রোগীদেরও এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কোন রোগীকে পঞ্চগড় জেলার বাইরে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হলে রোগীকে দ্রুত কম খরচে পাশ্ববর্তি জেলার উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র পৌছানোর জন্য পরিবহন ব্যবস্থাও রয়েছে। আত্মহত্যা বা হত্যা কিংবা কোন প্রকার অপমৃত্যুর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ময়না তদন্তের ব্যবস্থা এই হাসপাতালে রয়েছে।
রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বছরের প্রতিটি দিনই হাসপাতালের জরুরী চিকিৎসা কেন্দ্রটি সার্বক্ষণিক খোলা থাকে ও সেবা প্রদান করে। ইনডোরের চিকিৎসাধীন রোগীদের কিছু ঔষধ সরকারী ভাবে দেওয়া হয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের সূচিকিৎসার স্বার্থে ব্যবস্থা পত্রও দিয়ে থাকে। ইনডোরের রোগীরা সকালের নাস্তাসহ সকল খাবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ফ্রি পেয়ে থাকে। সে কারনে অসহায় ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাবারের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। প্রতিদিন রোগীদের বিছানাপত্র পরিস্কার রাখার জন্য বেড সীট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। রোগীদের আনুসাঙ্গিক ময়লা আবর্জনা অপসারনের জন্য সুইপার আছে। রোগীদের রাতের বেলা সেবা নিশ্চিত করতে জরুরী বিভাগে একজন চিকিৎসক কর্মরত থাকে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নার্স ডিউটি পালন করে।
অনুসন্ধানে জানা যায় হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন প্রকার ঔষধ প্রয়োজন হলেও সকল প্রকার ঔষধ সরকারীভাবে সরবরাহ না থাকায় সাধারন মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারের পদ ৩৫টি থাকলেও কর্মরত ডাক্তার আছেন সরকারীভাবে মাত্র ০৩ জন। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর পদের সংখ্যা ৬৭ টি, কর্মরত আছেন ৪০ জন। আধুনিক সদর হাসপাতালে মোট সেবাদানকারীর পদের সংখ্যা ১৩৪ জন, সেবাদানকারী রয়েছেন মাত্র ৬৮ জন যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি জেনারেটর থাকলেও দীর্ঘদিন যাবৎ তা অচল হয়ে আছে। জরুরী ভিত্তিতে রোগীদের সু-চিকিৎসার জন্য জেলার বাহিরে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ০২টি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ০১টি একেবারে অচল। এ ব্যপারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জামাদি হাসপাতালে থাকলেও তা রক্ষনাবেক্ষনের কোন সু-ব্যবস্থা নেই। জেলা শহরের একমাত্র আধুনিক হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগীর সমাগম ঘটে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সুইপারের অভাবে হাসপাতালটি সার্বক্ষনিকভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ জনবল বাড়াতে হবে। হাসপাতালের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারী ঔষধ সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে দুর্নীতি ও চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। ইনডোর ও আউটডোর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অফিস চলাকালীন সময় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভ ডাক্তারের রুমে যেতে পারবে না। অফিস সময়ে ডাক্তারের প্রাইভেট প্রাকটিস নিষিদ্ধ আইন পাস করতে হবে।
সেবা প্রদানকারীরদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে সমস্যাগুলি সমাধানের কোন আভাস পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী
মোঃ শাহজালাল
রিপোর্ট তৈরীতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয় রঞ্জন সরকার এবং রওশনারা শিমু
পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালের ইনডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। জরুরী বিভাগে বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যা নিযে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩৪ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। এছাড়াও আউটডোরে কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০৬ জন রোগী নানা অসুখ বিসুখের চিকিৎসা নিয়ে থাকে। রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সরকারীভাবে ঔষধ, ব্যান্ডেজ, তুলা, মলম, স্যালাইন, ইনজেকশন, সিরিন্জ, খাওয়ার স্যালাইন, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, মলমূত্র পরীক্ষা, এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। হাসপাতালে কিছু রোগের অপারেশনও করা হয়। এর মধ্যে হার্নিয়া, এপেনডি সাইড, টিউমার, ঘা, ইউট্রাসের অপারেশন এবং মাতৃত্বকালীন সকল চিকিৎসাসহ সিজার উল্লেখযোগ্য। খাদ্য বিষক্রিয়ায় বা বিষপানে অসুস্থ রোগীদেরও এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কোন রোগীকে পঞ্চগড় জেলার বাইরে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হলে রোগীকে দ্রুত কম খরচে পাশ্ববর্তি জেলার উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র পৌছানোর জন্য পরিবহন ব্যবস্থাও রয়েছে। আত্মহত্যা বা হত্যা কিংবা কোন প্রকার অপমৃত্যুর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ময়না তদন্তের ব্যবস্থা এই হাসপাতালে রয়েছে।
রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বছরের প্রতিটি দিনই হাসপাতালের জরুরী চিকিৎসা কেন্দ্রটি সার্বক্ষণিক খোলা থাকে ও সেবা প্রদান করে। ইনডোরের চিকিৎসাধীন রোগীদের কিছু ঔষধ সরকারী ভাবে দেওয়া হয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের সূচিকিৎসার স্বার্থে ব্যবস্থা পত্রও দিয়ে থাকে। ইনডোরের রোগীরা সকালের নাস্তাসহ সকল খাবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ফ্রি পেয়ে থাকে। সে কারনে অসহায় ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাবারের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। প্রতিদিন রোগীদের বিছানাপত্র পরিস্কার রাখার জন্য বেড সীট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। রোগীদের আনুসাঙ্গিক ময়লা আবর্জনা অপসারনের জন্য সুইপার আছে। রোগীদের রাতের বেলা সেবা নিশ্চিত করতে জরুরী বিভাগে একজন চিকিৎসক কর্মরত থাকে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নার্স ডিউটি পালন করে।
অনুসন্ধানে জানা যায় হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন প্রকার ঔষধ প্রয়োজন হলেও সকল প্রকার ঔষধ সরকারীভাবে সরবরাহ না থাকায় সাধারন মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারের পদ ৩৫টি থাকলেও কর্মরত ডাক্তার আছেন সরকারীভাবে মাত্র ০৩ জন। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর পদের সংখ্যা ৬৭ টি, কর্মরত আছেন ৪০ জন। আধুনিক সদর হাসপাতালে মোট সেবাদানকারীর পদের সংখ্যা ১৩৪ জন, সেবাদানকারী রয়েছেন মাত্র ৬৮ জন যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি জেনারেটর থাকলেও দীর্ঘদিন যাবৎ তা অচল হয়ে আছে। জরুরী ভিত্তিতে রোগীদের সু-চিকিৎসার জন্য জেলার বাহিরে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ০২টি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ০১টি একেবারে অচল। এ ব্যপারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জামাদি হাসপাতালে থাকলেও তা রক্ষনাবেক্ষনের কোন সু-ব্যবস্থা নেই। জেলা শহরের একমাত্র আধুনিক হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগীর সমাগম ঘটে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক সুইপারের অভাবে হাসপাতালটি সার্বক্ষনিকভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা হাসপাতালে ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ জনবল বাড়াতে হবে। হাসপাতালের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারী ঔষধ সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে দুর্নীতি ও চুরি প্রতিরোধ করতে হবে। ইনডোর ও আউটডোর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অফিস চলাকালীন সময় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভ ডাক্তারের রুমে যেতে পারবে না। অফিস সময়ে ডাক্তারের প্রাইভেট প্রাকটিস নিষিদ্ধ আইন পাস করতে হবে।
সেবা প্রদানকারীরদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে সমস্যাগুলি সমাধানের কোন আভাস পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী
মোঃ শাহজালাল
রিপোর্ট তৈরীতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয় রঞ্জন সরকার এবং রওশনারা শিমু
সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০
সরকারী প্রকল্প গুলোর মনিটরিং ডিজিটাইজড করুন
পাঠক প্রতিক্রিয়া:
মনিটরিং বা চোখে চোখে রাখাটা যে কোন প্রকল্পের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়। এই কাজটা প্রতিদিন করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব একটা ব্যাপার। ফলে, এইখাতেই দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি। কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া, কাজ অসমাপ্ত রেখে টাকা তুলে নেওয়ার খবর পড়ি আমরা প্রায়শই। এক্ষেত্রে, নেটিজেনদের একটা বড় ভূমিকা হতে পারে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি। সরকারের যেইখানে যেই প্রকল্প চলছে ( রাস্তা- ব্রিজ- কোন স্থাপনা-ভূমি উন্নয়ন- গাছ লাগানো ইত্যাদি) সেই উপজেলা/ জেলা/ বিভাগের একটি করে প্রকল্প ওয়েব সাইট বানিয়ে রাখা। বাংলাদেশের জন্য জেলা ওয়ারী যেই ওয়েব সাইট গুলো আছে, সেইখানে এলাকাভিত্তিক পেইজ গুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা পেইজ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এতে করে, যে কোন নাগরিক প্রকল্পের যে কোন দিনের ছবি তুলে ঐখানে আপলোড করে দিতে পারেন। ফলে, চুরি দারির রাস্তা বন্ধ হবে। আর সরকার বিনা পয়সায় মনিটরিং করতে পারবেন। কোন কাজ আদৌ কতদূর হইলো তা সহজেই জানা যাবে। প্রকল্প শেষ হলে টাকা তোলার শর্ত হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে – এমন প্রমাণ দিতে পারবে ঐ ছবি। প্রকল্পের ছবি চেয়ে ওয়েবসাইটে নোটিশ টাঙ্গালে এলাকাবাসী ছবি দেওয়ার কাজটা করতে পারবে। সবাই তো আর টাকা খেয়ে নিজের এলাকার ক্ষতি করবে না, তাই না?
ওয়েব সাইটের জন্য জরুরী কনটেন্ট যোগাড় করে আপলোড করা একটা কঠিন কাজ। এইটা নাগরিকদের করতে দিন। বিনা পয়সায় বাংলাদেশের তরুণরা এইটা করে দিবে। যেমন- পর্যটনের ওয়েব সাইট। বাংলাদেশের পর্যটনযোগ্য এলাকা, বিখ্যাত স্থাপনা ইত্যাদির ছবি ও তথ্য আপলোড করার কাজটা উন্মুক্ত করে দিন। আমি জানি, শত শত উৎসাহী তরুণ দেশের জন্য এই কাজটা সহজেই করে দিবে। একটু ভেবে দেখবেন?
- রাগ ইমন
২০ অক্টোবর, ২০১০
মনিটরিং বা চোখে চোখে রাখাটা যে কোন প্রকল্পের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়। এই কাজটা প্রতিদিন করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব একটা ব্যাপার। ফলে, এইখাতেই দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি। কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া, কাজ অসমাপ্ত রেখে টাকা তুলে নেওয়ার খবর পড়ি আমরা প্রায়শই। এক্ষেত্রে, নেটিজেনদের একটা বড় ভূমিকা হতে পারে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি। সরকারের যেইখানে যেই প্রকল্প চলছে ( রাস্তা- ব্রিজ- কোন স্থাপনা-ভূমি উন্নয়ন- গাছ লাগানো ইত্যাদি) সেই উপজেলা/ জেলা/ বিভাগের একটি করে প্রকল্প ওয়েব সাইট বানিয়ে রাখা। বাংলাদেশের জন্য জেলা ওয়ারী যেই ওয়েব সাইট গুলো আছে, সেইখানে এলাকাভিত্তিক পেইজ গুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা পেইজ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এতে করে, যে কোন নাগরিক প্রকল্পের যে কোন দিনের ছবি তুলে ঐখানে আপলোড করে দিতে পারেন। ফলে, চুরি দারির রাস্তা বন্ধ হবে। আর সরকার বিনা পয়সায় মনিটরিং করতে পারবেন। কোন কাজ আদৌ কতদূর হইলো তা সহজেই জানা যাবে। প্রকল্প শেষ হলে টাকা তোলার শর্ত হিসেবে কাজ শেষ হয়েছে – এমন প্রমাণ দিতে পারবে ঐ ছবি। প্রকল্পের ছবি চেয়ে ওয়েবসাইটে নোটিশ টাঙ্গালে এলাকাবাসী ছবি দেওয়ার কাজটা করতে পারবে। সবাই তো আর টাকা খেয়ে নিজের এলাকার ক্ষতি করবে না, তাই না?
ওয়েব সাইটের জন্য জরুরী কনটেন্ট যোগাড় করে আপলোড করা একটা কঠিন কাজ। এইটা নাগরিকদের করতে দিন। বিনা পয়সায় বাংলাদেশের তরুণরা এইটা করে দিবে। যেমন- পর্যটনের ওয়েব সাইট। বাংলাদেশের পর্যটনযোগ্য এলাকা, বিখ্যাত স্থাপনা ইত্যাদির ছবি ও তথ্য আপলোড করার কাজটা উন্মুক্ত করে দিন। আমি জানি, শত শত উৎসাহী তরুণ দেশের জন্য এই কাজটা সহজেই করে দিবে। একটু ভেবে দেখবেন?
- রাগ ইমন
২০ অক্টোবর, ২০১০
শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০১০
ড্রেন নয় যেন মরণ ফাঁদ
মো: আব্দুস ছবুর, পঞ্চগড়
আমরা পঞ্চগড়বাসি –এই শহরে এমন কতগুলো ড্রেন রয়েছে যেইখানে ভয়াবহ দূঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন আমি গতকাল রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখতে পেলাম যে সিটি জেনারেল হাসপাতালের পাশের রাস্তায় একটি ড্রেন ভেঙ্গে রয়েছে। এই কারণে তার উপর দিয়ে ভ্যান রিক্সা চলতে পারছেনা। আরো দেখি রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট ছোট যে ড্রেন রয়েছে তাতে ময়লা জমে থাকায় সেইখান থেকে র্দূগন্ধ ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সেইখান থেকে মশা সৃস্টি
হয়।
আমরা পঞ্চগড়বাসি –এই শহরে এমন কতগুলো ড্রেন রয়েছে যেইখানে ভয়াবহ দূঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন আমি গতকাল রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখতে পেলাম যে সিটি জেনারেল হাসপাতালের পাশের রাস্তায় একটি ড্রেন ভেঙ্গে রয়েছে। এই কারণে তার উপর দিয়ে ভ্যান রিক্সা চলতে পারছেনা। আরো দেখি রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট ছোট যে ড্রেন রয়েছে তাতে ময়লা জমে থাকায় সেইখান থেকে র্দূগন্ধ ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সেইখান থেকে মশা সৃস্টি
হয়।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)